ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo শেরপুরের সাবেক এমপি আতিকের অবৈধ টাকার পাহাড়। Logo শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে তালা। Logo শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেফতার। Logo শেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। Logo শেরপুর বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে ত্রান বিতরণ।  Logo শেরপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য  জামালপুরস্থ দেওয়ানগঞ্জ সমিতি,জামালপুর এর উপহার সামগ্রী বিতরণ। Logo ভারতে যাওয়ার সময় শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আটক। Logo শেরপুরে ৩১ বস্তা সরকারি চাল জব্দসহ আটক-১  Logo শেরপুর জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। Logo শেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রম নিয়ে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। 

শেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ

শেরপুর প্রতিনিধি: মোঃ আলমগীর হোসেন:

শেরপুরে ব্যবসায়ীর নাম ব্যবহার করে বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নামে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায়, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঐ ধান, চাল ব্যবসায়ী। ২০ অক্টোবর রোববার দুপুরে জেলা শহরের ঢাকলহাটী জেএন্ডএস গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। একটি সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে ধান চাল ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন সেনা ক্যাম্প বা অন্য কোথাও চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীর অভিযোগ, আমি শেরপুর আর্মি ক্যাম্প বা অন্য কোথাও বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নামে কোন দরখাস্ত দেয়নি। তারপরেও আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে খবরের কাগজ নামে একটি পত্রিকা।
জেএন্ডএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ধান-চাল ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন আরো বলেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খবরের কাগজ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার “শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দৌরাত্ম্য চাঁদা না দিলেই করা হচ্ছে হত্যা মামলার আসামি!” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ওই সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়। ওই সংবাদের একটি অংশে ওই পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক লিখেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি (শেরপুর-৩ আসন) মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর বিরুদ্ধে সেনাপ্রধান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দিয়েছে জয়নাল আবেদীন নামে এক ধান-চাল ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমি শেরপুর জেলা শহরের স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান জেএন্ডএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ধান-চাল ব্যবসায়ী। জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি (শেরপুর-৩ আসন) মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর সাথে আমার সুসম্পর্ক এবং সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তারা বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজন। কাজেই আমি তাদের বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ সেনাপ্রধান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের কোন দপ্তর বরাবর এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করি নাই।

ওই পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদককে দিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করার পূর্বে তাকে দিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভিত্তিহীন তথ্য এবং অসত্য তথ্য দিয়ে হীনস্বার্থ চরিতার্র্থ করতেই তার নাম জুড়ে দিয়ে সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে যা সাংবাদিকতা নিয়মনীতির পরিপস্থি। তাই আমি দৈনিক খবরের কাগজ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায়, জেলা বিএনপির সভাপতি বা সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাদাবাজি বা অন্যকোন অভিযোগ আসে নাই।
শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, দুই তিন দিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেনাপোল থেকে এরেস্ট হয়েছে। এরপর থেকেই নানা ভাবে অপপ্রচার শুরু হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।আমি মনে করি এটা তাদেরই কাজ।আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটিও মিথ্যা। অনেক বছর আগে সেই জমি আমি ক্রয় করেছিলাম। মামলা এবং দীর্ঘ সময় জেলে থাকার কারনে আওয়ামীলীগের নেতারা সেই জমি দখল করে রেখে ছিলো। ৫ তারিখের পর প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সেই জমিতে আমার নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি এবং সেই জমির বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস.এস শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাশিম, সিনিয়র সাংবাদিক জিএম আজফার বাবুলসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরের সাবেক এমপি আতিকের অবৈধ টাকার পাহাড়।

শেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ

শেরপুর প্রতিনিধি: মোঃ আলমগীর হোসেন:

শেরপুরে ব্যবসায়ীর নাম ব্যবহার করে বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নামে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায়, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঐ ধান, চাল ব্যবসায়ী। ২০ অক্টোবর রোববার দুপুরে জেলা শহরের ঢাকলহাটী জেএন্ডএস গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। একটি সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে ধান চাল ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন সেনা ক্যাম্প বা অন্য কোথাও চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীর অভিযোগ, আমি শেরপুর আর্মি ক্যাম্প বা অন্য কোথাও বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নামে কোন দরখাস্ত দেয়নি। তারপরেও আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে খবরের কাগজ নামে একটি পত্রিকা।
জেএন্ডএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ধান-চাল ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন আরো বলেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খবরের কাগজ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার “শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দৌরাত্ম্য চাঁদা না দিলেই করা হচ্ছে হত্যা মামলার আসামি!” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ওই সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়। ওই সংবাদের একটি অংশে ওই পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক লিখেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি (শেরপুর-৩ আসন) মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর বিরুদ্ধে সেনাপ্রধান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দিয়েছে জয়নাল আবেদীন নামে এক ধান-চাল ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমি শেরপুর জেলা শহরের স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান জেএন্ডএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ধান-চাল ব্যবসায়ী। জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি (শেরপুর-৩ আসন) মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর সাথে আমার সুসম্পর্ক এবং সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তারা বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজন। কাজেই আমি তাদের বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ সেনাপ্রধান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের কোন দপ্তর বরাবর এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করি নাই।

ওই পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদককে দিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করার পূর্বে তাকে দিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভিত্তিহীন তথ্য এবং অসত্য তথ্য দিয়ে হীনস্বার্থ চরিতার্র্থ করতেই তার নাম জুড়ে দিয়ে সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে যা সাংবাদিকতা নিয়মনীতির পরিপস্থি। তাই আমি দৈনিক খবরের কাগজ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায়, জেলা বিএনপির সভাপতি বা সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাদাবাজি বা অন্যকোন অভিযোগ আসে নাই।
শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, দুই তিন দিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেনাপোল থেকে এরেস্ট হয়েছে। এরপর থেকেই নানা ভাবে অপপ্রচার শুরু হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।আমি মনে করি এটা তাদেরই কাজ।আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটিও মিথ্যা। অনেক বছর আগে সেই জমি আমি ক্রয় করেছিলাম। মামলা এবং দীর্ঘ সময় জেলে থাকার কারনে আওয়ামীলীগের নেতারা সেই জমি দখল করে রেখে ছিলো। ৫ তারিখের পর প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সেই জমিতে আমার নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি এবং সেই জমির বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস.এস শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাশিম, সিনিয়র সাংবাদিক জিএম আজফার বাবুলসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।